নবরূপে সাজছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দির। রথের দিন ১২ জুলাই দ্বারোদ্ঘাটন হবে বলে জানালেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ভক্তদের দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রার পীঠস্থান মাহেশকে একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে ভারতের মানচিত্রে তুলে ধরা হবে।
সেই মতো কাজও শুরু হয়ে গেছে দ্রুতগতিতে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে হুগলি জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ মাহেশের জগন্নাথ মন্দির ও অন্যান্য মন্দির সংলগ্ন জায়গাগুলির উন্নতিসাধনে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ২০১৭ সাল থেকে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আসছেন।
ইতিমধ্যেই ৬২৫ বছরের প্রাচীন মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। মূল মন্দিরসহ ভোগের ঘর ,প্রসাদের ঘর ,মন্দির সংলগ্ন অন্যান্য দেবদেবীর মন্দির সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে। শুক্রবার সকালে পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন স্বয়ং উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে এই সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখেন। তারপর তিনি জেলাশাসক, বিধায়ক, ট্রাস্টি বোর্ডের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
তিনি জানান, যা দেখলাম তাতে এখানকার ১০০% কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে । যেটুকু বাকি আছে তা দ্রুত গতিতে হচ্ছে। তাই আগামী ১২ জুলাই এই ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দির ভক্তদের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হবে। মন্দির সংলগ্ন জিটিরোডের ওপর সুদৃশ্য তোরণ তৈরীর কাজও শেষের পথে।
পর্যটনমন্ত্রী আরও জানান , মাহেশ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। মাহেশের গঙ্গার তীরে একটি মনোরম পার্ক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী মাঠটিও সংস্কার করা হবে। এরই পাশাপাশি, জি টি রোডের দুধারে সৌন্দর্যায়নের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান তিনি। করোনা আবহের মধ্যেও যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। মাত্র এক-দু শতাংশ কাজ বাকি আছে। যা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তার সঙ্গে এদিন ছিলেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায় জেলাশাসক এবং জনপ্রতিনিধিরা। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন তাই করেন । এটা চালু হলেই সেটা বুঝতে পারবেন রাজ্যের মানুষ । মাহেশে পর্যটন দফতর তৈরি করছে ইকো ট্যুরিজম রিসোর্ট। এখানে থাকছে ৭টি কটেজ ও ডরমিটরি, পিকনিক স্পট ও লোকশিল্পীদের জন্যে অনুষ্ঠানের জায়গা।
মাহেশ থেকে পর্যটনমন্ত্রী যান বলাগড়ের সবুজদ্বীপে।
সেখানকার কাজের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই রিসোর্ট কিভাবে চালু হবে সেই বিষয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নেন।